দিনের বেলায় ভোলা-ঢাকা রুটে চালু হচ্ছে গ্রীন লাইন ইকরামুল আলম ইকরামুল আলম প্রকাশিত: ১:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৯ | আপডেট: ১:৪৩:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৯ SHARES খুব শীগ্রই দিনের বেলায় ভোলা-ঢাকা রুটে চালু হতে যাচ্ছে দ্রুতগামী নৌযান গ্রীন লাইন সার্ভিস। এ সার্ভিসটি চালুর মধ্যদিয়ে এই প্রথম বারের মত নৌপথে অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় যেতে পারবে ভোলাবাসী। এতে সময় এবং ভোগান্তি উভয় কমে যাবে। জরুরি প্রয়োজনে এ দ্বীপ জেলার মানুষ খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভোলার মদনুষ গ্রীন লাইন সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়ে আসছে। যা খুব শীগ্রই বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ খবরে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার অনেক যাত্রীই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুম আলম ছিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, ভোলা-ঢাকা রুটে গ্রীন লাইন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সাথে লক্ষীপুরের মতিরহাট পয়েন্ট ফেরীঘাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই এ সার্ভিস দুটি চালু হবে। তিনি আরো জানান, প্রতিদিন ভোলার ইলিশা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট এবং ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে যাবে গ্রীন লাইন। এতে করে দিনের বেলায় যাতায়াত করতে পারবে দ্বীপ জেলার মানুষ। আগে ভোলার মানুষকে ঢাকায় যেতে হতো রাতের বেলায়। গ্রীন লাইন সার্ভিসটি চালুর লক্ষ্যে ইলিশায় একটি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খুব শীগ্রই বিআইডব্লিউটিএ একটি টার্মিনাল স্থাপন করবে। এদিকে গ্রীন লাইন চালু হলে সময় অনেক কম লাগবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিটিএ উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ভোলার খেয়াঘাট থেকে ঢাকার নৌপথের রুটে দুরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। সেখানে লঞ্চ যোগে যেতে সময় লাগে ১১ঘন্টা। কিন্তু গ্রীন লাইন যাবে ইলিশা ঘাট থেকে, সেখানে ৩০ কিলোমিটার কমে গিয়ে দাঁড়াবে ১২৫ কিলোমিটারে। তাই লঞ্চ থেকে কমপক্ষে ৪/৫ ঘন্টা সময় কম লাগবে। অন্যদিকে ভোলা-লক্ষীপুর দুরত্ব ২৬ কিলোমিটার। সেখানে মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে মতিরহাট এলাকায় ফেরীঘাট স্থাপন করা হলে সেখানে দুরত্ব কমে যাবে ১২ কিলোমিটার। এতেও এক ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে। এতে অতিরিক্ত সময় কম লাগবে। জানা গেছে, রাজধানীর সাথে ভোলার নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন জেলা সদরসহ জেলার সাত উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ যাচ্ছে। একইভাবে আসছেও ১৪টি। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করছে এবং ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছায়। নৌযানের উপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের যাত্রীরা। যাত্রীরা জানান, লঞ্চের পাশাপাশি দিনের বেলায় গ্রীন লাইন চালু হলে একদিকে যেমন যোগাযোগ মাধ্যম সহজ হবে অন্যদিকে সময়ও বাচবে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। Facebook0Tweet0Pin0Email0 SHARES আরও পড়ুন প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন ‘কঠোর লকডাউনে’ বন্ধ থাকবে অফিস, মার্কেট, যানবাহন