ঢালচরের ৯ গ্রাম প্লাবিত চরফ্যাসন নিউজ ডেস্ক চরফ্যাসন নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০১৯ | আপডেট: ৭:৪৮:পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০১৯ SHARES পূর্ণিমা আর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের একটানা বাতাসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারে চরফ্যাসনে ঢালচর ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্থাঘাট, হাটবাজার, স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসা এবং বসতঘর। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। শুক্রবার (৫জুলাই) সকাল ১১ টার পর থেকে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। জোয়ার বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দা মনজু খন্দকার জানান, প্রতি বছর এই সময়ে জোয়ারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে। কিন্ত এবছর দক্ষিণ-পূর্ব কোণের বাতাসের দাপট থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক উচ্চমাত্রার জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে সমগ্র ঢালচর। পানির তোপে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো ভেসে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ডুবে গেছে ঘরভিটা, ফসলের ক্ষেত, হাটবাজার এবং রাস্তাঘাট। দক্ষিণ উপকূলের ঢালচর বাগান থেকে শতাধিক মহিষ জোয়ারের টানে সাগরে ভেসে গেছে। জোয়ারের পনিতে ঢালচরের কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারে প্লাবিত হওয়ায় বেশ কিছু সমজিদে জুম্মার নামাজ বিঘ্নিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকার খোজ খবর নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যহত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাইসার আলম জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জোয়ারের ঢাল চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাধ না থাকার ফলে উপজেলার ঢালচরের মেঘনা পাড়ের মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে। Facebook0Tweet0Pin0Email0 SHARES আরও পড়ুন চরফ্যাসনে কোষ্টগার্ডের অভিযান চরফ্যাসনে কোষ্টগার্ডের অভিযানে ২০ মন জাটকাসহ ট্রলার আটক