অর্থনৈতিক সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘‘মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’’ অর্জন করেছেন ইংরেজি দৈনিক দ্যা বিজনেস পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহীন হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়রাম্যান ,বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিমরে হাত থেকে সাংবাদিক শাহীন হাওলাদারের পক্ষে তার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসাইন এ অ্যাওয়ার্ড ও সার্টিফিকেট গ্রহন করেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে এই সম্মননা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি গণতান্ত্রিক পার্টীর চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এম এ আউয়াল , গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর আনিসুজ্জামানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শাহীন হাওলাদার এর আগে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুব সংগঠন গ্লোবাল ইয়ুথ পার্লামেন্টের ‘গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ পেয়েছেন। এছাড়াও সাংবাদিকতা জীবনে অনকে সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর পক্ষ থেকেও তাকে নানা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় টবগী ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত হাওলাদার পরিবারে শাহীন হাওলাদারের জন্ম। হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক পড়ার সময় ২০০৭ সালে আঞ্চলিক পত্রিকা দিয়ে তাঁর সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। কয়েক বছর এভাবে কাজ করার পর ২০১৩ সালে রাজধানী ঢাকায় যান সাংবাদিক শাহীন হাওলাদার। সেখানে গিয়ে পর্যায়ক্রমে বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন তিনি। এরপর যোগ দেন জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায়। অর্থনৈতিক বিটে কাজ করার দায়িত্ব পান। সেখানে তিনি একের পর এক আলোচিত রিপোর্ট করে আলোচনায় আসেন। বিশেষ করে ব্যাংক ও বীমা সেক্টরের নানা অনয়িম,দুর্নীতি ও নানা পলসিি নিয়ে নানা সংবাদ প্রকাশিত হলে সর্বমহলের দৃষ্টিতে আসেন শাহিন হাওলাদার। দেশের আর্থিক খাতের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত শাহিন হাওলাদারের অনুসন্ধানী প্রতিবেনগুলো এখনো সর্বমহলে প্রশংশিত। অর্থমন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অর্থনৈতিক সেক্টরের এসব লিড নিউজ শাহীন হাওলাদারকে ব্যাপক পরিচিত করে তোলে। এরপর ২০২১ সালে ইংরজি জাতীয় দৈনিক দ্যা বিজনেস পোস্ট পত্রিকায় যোগ দেন। পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারতসহ নানা দেশে। তিনি বাংলাদেশে পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্য।