ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: সতর্কীকরণ প্রচারাভিযানে ইউপি চেয়ারম্যান
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাসনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ক্রমশই উত্তাল হচ্ছে মেঘনা নদী। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় বিচ্ছিন্ন চর কুকরি মুকরিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। একইসাথে খোলা রাখা হয়েছে ইউনিয়ন কন্ট্রোল রুম। বিকাল থেকে চরের বাসিন্দাদের সর্তক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। এসময় সিপিপি কর্মিদের সাথে সতর্কীকরণ প্রচারাভিযানে অংশ নিয়েছেন চর কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় এ জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৩ টি সাইক্লোন সেল্টার। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি ও ২ হাজার রেড ক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবক। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। একইসাথে খোলা হয়েছে জেলার ৭ উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম। সব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা।
চর কুকরি মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকরি মুকরি ইউনিয়নে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে ট্রলার প্রস্তুত রেখেছি। সন্ধ্যার আগে কিছু বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত শিশু খাদ্য ও শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষায় জেলায় ৭৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১২টি মুজিব কিল্লা।
What's Your Reaction?