খুলে দেওয়া হচ্ছে বেনজীরের রিসোর্ট
গোপালগঞ্জ সদরে অবস্থিত আলোচিত সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। দর্শনার্থীরা আগামীকাল থেকে ওই পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রাইড চালু থাকলেও বন্ধ থাকবে কটেজ। ফলে অবকাশযাপন করতে পারবেন না কোনো দর্শনার্থী।
এদিকে পুলিশ, আনসার ও সাভানা ইকো রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা রিসোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ইতোমধ্যে আনসার ভিডিপি ও রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীরা সেখানে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামীকাল সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করবে জেলা প্রশাসন।
পর্যবেক্ষণ ও তদারকি কমিটির সদস্য সচিব এবং গোপালগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। আর এ পার্ক থেকে সকল আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জমা হবে। পার্কের নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্য মোতায়েনের জন্য আবেদন জানানো হবে। আশা করি সকাল থেকেই পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। ইতোমধ্যে রিসোর্টের নিরাপত্তার জন্য আনসার ও সাভানার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্বে আছেন।
ক্রোক আদেশের পর পার্কটি চালু থাকলেও গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কটি বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগের মাধ্যমে পার্কটি নিয়ন্ত্রণে নেয় জেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সার্বিক তদারকির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালককে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।
অন্যদিকে ১২ জুন রাতে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের তিনটি কম্পিউটারের সিপিইউ ও একটি মনিটর চুরি হয়। পরদিন ১৩ জুন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন পার্কের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন।
এছাড়া গত ৭ জুন রাতে গোপনে পার্ক থেকে ধরা ৫৯০ কেজি মাছ বিক্রি করার সময় হাতেহাতে জব্দ করে দুদক। পরে মাছ বিক্রি করে ৮৩ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গোপনে মাছ বিক্রির দায়ে পার্কের মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন দুদকের গোপালগঞ্জে উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।
What's Your Reaction?